পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করান। পরে পুনরায় আবেদন করতে গেলে তাকে জানানো হয়, নতুন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা, আর কম্পিউটার ও কাগজ প্রস্তুতিসহ মোট ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এক মাসের ব্যবধানে তিনগুণ ফি! কোথাও কোনো ঘোষণা বা তথ্য তো পাইনি।” দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও আবেদনকারীরা একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। অধিকাংশেরই অভিযোগ—কেন বাড়ল, কবে থেকে বাড়ল, কী যুক্তিতে বাড়ল—এসব বিষয়ে তারা কোনো তথ্য পাননি। পুরো কাঠামো: আগে কত ছিল, এখন কত হলো সরকারি কাঠামো পরীক্ষা করলে দেখা যায়— ২০১১ সাল থেকে বহু বছর ফি ছিল: ৫০০ টাকা — এই হার বহু বছর অপরিবর্তিত ছিল। ২০২৩ ও ২০২৪ সাল পর্যন্ত: আবেদনকারীরা ৫০০ থেকে ৫১৫ টাকার মধ্যেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতেন। বর্তমান হার (২০২৪–২০২৫): ১ হাজার ৫০০ টাকা — অর্থাৎ পূর্বের তুলনায় এক লাফে তিনগুণ বৃদ্ধি। কিন্তু এই পরিবর্তন কেন হলো এবং কবে থেকে কার্যকর হলো—তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা এখনো কেউ জানে না। মানুষের প্রশ্ন আরও বাড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আবেদনকারীরা বলছেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সেবার ফি হঠাৎ তিনগুণ কেন বাড়ানো হলো? বিদেশগামী শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে? কম্পিউটার/প্রিন্টিং খাতে অতিরিক্ত নেয়া টাকা কোন নিয়মে নির্ধারিত? ফি বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট সময়সীমা কোথায় জানানো হয়েছে? এসব প্রশ্নের এখনো কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রশাসন-পর্যবেক্ষকদের মতে— সরকারি সেবার ফি পরিবর্তন হলে জনগণকে আগাম জানানো, ব্যাখ্যা প্রদান এবং নিয়ম স্পষ্ট করা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের পরিবর্তন সঠিকভাবে প্রচার না হলে ভুল বোঝাবুঝি, বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাস তৈরি হয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে অনিয়মের সুযোগও বেড়ে যায়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স—বিদেশযাত্রা, পড়াশোনা, চাকরি ও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অপরিহার্য নথি। এক লাফে তিনগুণ ফি বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর যেমন অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করেছে, তেমনি দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা, বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ। সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা ফি বৃদ্ধির কারণ, নিয়ম এবং কার্যকর হওয়ার সময় এখনই পরিষ্কারভাবে জানানো হোক। স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পেলে মানুষ যথাযথ প্রস্তুত হয়ে আবেদন করতে পারবে এবং প্রশাসনের প্রতি আস্থাও বজায় থাকবে।