সঙ্গে আল-শরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি দামেস্কের পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর। এক সময়ের আল-কায়েদা নেতা থেকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টে পরিণত হওয়া আল-শরার এই উত্থান বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু” নিয়ে ট্রাম্প ও আল-শরার মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “তিনি খুব কঠিন জায়গা থেকে এসেছেন, এবং তিনিও একজন কঠিন মানুষ। আমি তাঁকে পছন্দ করি। আমরা সিরিয়াকে সফল দেখতে চাই—কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের অংশ, আর এখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।” যদিও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতিকে “ঐতিহাসিক শান্তি” বলে দাবি করছেন, ইসরায়েল এখনও প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আল-শরা নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র বিরোধী বাহিনীকে, যার মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।