হমেদ তরেককে বলেন, “আপনি আগামীকাল (সোমবার) আপিল করতে পারেন। কিছু দপ্তর প্রয়োজনীয় সংশোধনও করবে। এখনই অনশন শেষ করা উচিত।” এরপর তিনি তরেককে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠান। এর আগে, একই দিনে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে তরেক রহমানকে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আপিল, সংশোধন, পরিবর্তন বা মেয়াদ বৃদ্ধির মতো প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আমি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি, অনশন বন্ধ করে বিষয়টি আইনগত পথে সমাধান করা হোক।” আখতার আহমেদ আরও বলেন, “আমরা সব প্রয়োজনীয় আইনি দিক লিখিতভাবে জানিয়েছি। তারা চাইলে আপিল করে যেকোনো ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।” তিনি যোগ করেন, “যদি কোনো শর্ত পূরণ না হওয়ায় নিবন্ধন অনুমোদন না হয় এবং দলটি তাতে আপত্তি করে, সেটি স্বাভাবিক। এমন ক্ষেত্রে তারা পুনর্বিবেচনা বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। কমিশন তা গ্রহণ করবে কি না, সেটি পরবর্তী বিবেচনার বিষয়।” গত ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর নির্বাচন কমিশন তিনটি দলের নিবন্ধন অনুমোদন করে— ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) , বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি । শিগগিরই আপত্তি বা দাবির জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এরপর প্রাপ্ত আপত্তিগুলো বিবেচনা করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে। আম জনতার দল নিবন্ধনের তালিকায় স্থান না পাওয়ায় তরেক রহমান রবিবার দুপুরে ইসি ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেছিলেন।