এখন

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম

সর্বশেষজাতীয়রাজনীতিসারাদেশবিশ্বখেলাশিক্ষাস্বাস্থ্যমতামতধর্মঅপরাধপ্রযুক্তিবিনোদনঅর্থনীতিআইন ও আদালতপরিবেশবিজ্ঞান
জাগ্রত বার্তাগোপনীয়তার নীতিশর্তাবলিমন্তব্য প্রকাশের নীতিমালাবিজ্ঞাপন

প্রকাশনা ও যোগাযোগ

সম্পাদক: sompadok@jagrotobarta.com
প্রকাশক: contact@jagrotobarta.com


ই-মেইল: info@jagrotobarta.com

বিজ্ঞাপন
ই-মেইল: ads@jagrotobarta.com

© 2025 জাগ্রত বার্তা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

পূর্ণ খবর

জাগ্রত প্রতিবেদক

৬ জুলাই, ২০২৫

Logo
৬ জুলাই, ২০২৫ এ ০৫:৩৩

রেলস্টেশনে সন্ত্রাসের রাজত্ব — সাংবাদিক রক্তাক্ত!

সাংবাদিক মামুন তরফদার

(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: একটি টিকিট, একটি বৈধ আসন এবং একজন সাংবাদিক। এই তিনটি উপাদান যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে একসাথে মিললো, তখনই যেন সেই স্টেশন হয়ে উঠল বর্বরতা ও ব্যর্থতার গর্বিত প্রতীক। কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না —এই বাংলাদেশে,২-০৭- ২০২৫ সালে, টিকিট কেটে ট্রেনে সিটে বসাও এখন প্রাণঘাতী ঝুঁকি। ঘটনাটি যা আপনার রক্ত হিম করে দেবে তা হলো মৌলভীবাজার

জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ও সম্মানিত সাংবাদিক তরফদার মামুন নিয়মমতো ট্রেনের টিকিট কেটে নির্ধারিত সিটে বসেছিলেন। কিন্তু ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে থামার পরপরই হায়েনার মতো হানা দেয় স্থানীয় এক চাঁদাবাজ চক্র। তারা সোজাসাপ্টা বলে, “এই সিট ছাড়ো। এইটা আমাদের।” সাংবাদিক মামুন তাদের জানালেন, তিনি টিকিট কেটে এসেছেন এবং এটি তাঁর আইনি অধিকার। এই সাহসের অপরাধে, তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী। তাকে কিল, ঘুষি, লাথি, এমনকি মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয় ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। সবচেয়ে লজ্জাজনক বিষয়— এই পুরো ঘটনা ঘটেছে রেলওয়ে পুলিশের সামনেই, যারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুধু ‘দেখেছে’। এই ঘটনা একক কোনো ঝগড়া নয়। এটি প্রমাণ করে প্রভাবশালী চক্র এখন পুরো রেলস্টেশন নিয়ন্ত্রণ করে। রেলওয়ে পুলিশ ও প্রশাসন হয় তাদের অংশীদার, নয়তো দাসত্বে বাধ্য। আজ যদি সাংবাদিককে পেটানো যায় “সিটে বসার কারণে”, কাল এক সাধারন যাত্রীকেও হয়তো ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হবে “চোখে চোখ পড়েছে” এই অজুহাতে! আমাদের দাবিগুলো আর অনুরোধ নয়, আদেশের মতো শোনা হোক। ১| সাংবাদিক তরফদার মামুনের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে ২| ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে ফাঁসি পর্যন্ত শাস্তির দাবি জানাই ৩| রেলওয়ে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করে তদন্তের আওতায় আনতে হবে ৪| সাংবাদিকদের নিরাপত্তা আইন এখনই পাশ করতে হবে, নয়তো সারাদেশে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়বে আমরা থামবো না — প্রশাসন যদি থামে, জনগণ রাস্তায় নামবে! আমরা হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি—এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলে, তা পুরো বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ, নাগরিক সমাজ এবং গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে। প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন নয়, এবার চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি: আপনি যদি সন্ত্রাসের পাশে থাকেন, ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না। এই প্রতিবেদন শুধু একজন সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদ নয়। এটি একটি প্রশ্ন —এই দেশে সত্য বলা কি নিষিদ্ধ? সিটে বসা কি অপরাধ? আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি বাংলাদেশের আলাদা সন্ত্রাসপ্রদেশ? রেলপথে শান্তি চাই, সন্ত্রাস নয়। সাংবাদিকতায় সম্মান চাই, রক্ত নয়। এখনই ব্যবস্থা নিন — নয়তো আরেকটা রক্তাক্ত নিউজ আসছে, এবার হয়তো সে আপনি হবেন।

রেলস্টেশনে সন্ত্রাসের রাজত্ব — সাংবাদিক রক্তাক্ত!

Description

সাংবাদিক মামুন তরফদার

জাগ্রত প্রতিবেদন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

>>> অনলাইন সংস্করণ

image

>>>সাম্প্রতিক সংবাদ

>>>গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত

শান্তির বার্তা নিয়ে ঢাকা শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

>>>গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত

শান্তির বার্তা নিয়ে ঢাকা শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

Card Image

শান্তির বার্তা নিয়ে ঢাকা শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

সর্বশেষ আপডেট এবং এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টের জন্য আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে ফলো করুন।

Zirrah Solution